১৯ মে ২০২৪, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
পটুয়াখালীতে ফোন চাওয়ায় মায়ের বকাঝকা, এসএসসি পাস শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা আগৈলঝাড়ায় শুক্রবার রাতে স্কুল ছাত্রী ও গৃহবধুর আত্মহত্যা বরিশাল নগরী বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে ট্রাফিক পুলিশের সচেতনমূলক অভিযান বাবুগঞ্জে অভিভাবক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জনগনের ভালবাসায় এগিয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী চায়না খানম ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি চেষ্টা মামলায় কারাগারে মাদরাসা সুপার চাঁদপাশায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারজানা বিনতে ওহাব এর উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত রিকশাচালককে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়া সেই পুলিশ সদস্য ক্লোজড বরিশালে স্বামীর জমানো টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী তেঁতুলিয়া হাসপাতালে অকেজো মালামাল টেন্ডারে ঘাবলা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি
পাওনা টাকা না পেয়ে বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে, অতঃপর…

পাওনা টাকা না পেয়ে বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে, অতঃপর…

আজকের ক্রাইম ডেক্স
ঠিকাদার মোহন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। তার বাড়ির কাছেই ফ্ল্যাট কিনে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন তার বন্ধু। সেই বন্ধুর কাছে মোটা অংকের টাকা পাওনা ছিলেন মোহন। আর সেই টাকা না দিতে পেয়ে ফ্ল্যাটে স্ত্রী-সন্তান রেখে আত্মগোপনে চলে যান। একপর্যায়ে পাওনা টাকার জন্য সাথী আক্তারকে বিয়ে করেন মোহন। বিয়ের পর সাথী আক্তার পূর্বের স্বামীর ক্রয় করা ফ্ল্যাটেই বসবাস করেন।

মোহন ওই ফ্ল্যাটে আসা-যাওয়া করলেও সাথীর ভরণপোষণ দিতেন না। এ নিয়ে প্রায় সময় মোহন ও সাথীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে শনিবার মধ্যরাতে ভরণপোষণ না দেওয়ায় মোহনকে ধাওয়া করে কচুক্ষেতের পানিতে নামিয়ে এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন দ্বিতীয় স্ত্রী সাথী। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার হন মোহন। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ফতুল্লার সাইনবোর্ড তুষারধারা এলাকায়।

ঠিকাদার মোহন বলেন, সাথীকে প্রথমে মৌখিকভাবে বিয়ে করি। পরে ৫ লাখ টাকা কাবিন দিয়ে কাজির মাধ্যমে বিয়ে করি। বিয়ের পর থেকে নিয়মিত ভরণপোষণ দিয়ে আসছি। কয়েক দিন আগেও চালের বস্তা কিনে দিয়েছি। বাজারও করে দিয়েছি। কিন্তু সাথী আমাকে ঘরে থাকতে দেয় না। তার কারণ, সাথীর সঙ্গে একাধিক পুরুষের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। অবৈধ সম্পর্কের প্রমাণও আমার কাছে আছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলেই সাথী আমাকে মারধর করতে চায়, ঘর থেকে বের করে দেয়।

তিনি বলেন, রাত প্রায় ১২টার সময় সাথীর ফ্ল্যাটে গিয়ে দরজা ধাক্কা দিলে কেউ শব্দ করেনি। কিন্তু ঘরে লোকজন আছে শব্দ পেয়েছি। এতে জোরে দরজা ধাক্কা দিলে সাথী গালাগাল করে চলে যেতে বলেন। আমি যাব না বললে সাথী তার তিনজন লোক হাতে রড ও লাঠি দিয়ে আমাকে মারধর করার জন্য পাঠায়। তখন দৌড় দিলে তারা পিছু নেয় এবং মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে জীবন বাঁচানোর জন্য সড়কের পাশে কচুক্ষেতের ভেতর ঢুকে পড়ি। ওই ক্ষেতে বুক সমান অনেক ঠান্ডা পানি ছিল। ওই সময় ডাকাডাকি করেও কাউকে পাইনি। তারা আমাকে পানিতে এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। তখন প্রথম স্ত্রীকে ফোন করে তার সহযোগিতা চাই। এরপর ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ দেখে তারা পালিয়ে যায়।

ফতুল্লা মডেল থানার এসআই গিয়াস উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মোহনকে ভেজা অবস্থায় কচুক্ষেতের সামনে পেয়েছি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019